সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, একুশের কন্ঠ : ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানায় ‘টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না , সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার’ এমন তথ্য ও অভিযোগ উঠে এসেছে মধুখালী থানা পুলিশ প্রশাসণের বিরুদ্ধে।
জননেতা জনাব আব্দুর রহমান এমপি, বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রীর নিজ থানা মধুখালী, এই থানার পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেএসেছে নানান অনিয়মের অভিযোগ। সাধারন মানুষ বলছে মধুখালীতে বর্তমানে চুরি, ডাকাতি, মাদক চাঁদাবাজি নিত্যদিনের সংগী হয়ে দাড়িয়েছে, এলাকাবাসি রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না, চুরি হযে যাওয়ার ভয়ে সব সময় আতংকে রাত কাটে এবং চাঁদাবাজি হলেও নেই কোন প্রতিকার, অটোথেকে শুরুকরে ইট ভাটা সহ অনেক যায়গা থেকে চাঁদা নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। নাম না বলা শর্তে কয় একজন অটোচালক বলেন, আমরা গরিব মানুষ কিস্তি নিয়ে একটা অটো কিনলেই দশ থেকে বারো হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় রাস্তায় ভর্তি বাবুদ।
শুধু তাই নয় প্রতিদিন অটো প্রতি দিতে হয় বিশ টাকা করে চাঁদা, যার একটা ভাগ চলেযায় থানা পুলিশের পকেটে, মধুখালী বাজার ব্যাবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত কয়েক মাসের ব্যাবধানে বাজারে বড় বড় চুরির ঘটনা ঘটে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হলেও এর কোন প্রতিকার পায়নি তারা । এদিকে প্রতিরাতেই ঘটছে চুরির ঘটনা, ভুক্তভুগিরা অভিযোগ দিতে থানায় গেলেও বেশির ভাগ ভুক্তভোগির অভিযোগ না নিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয় থানা পুলিশ। পাঁচ চাকার ট্রাক্টর গাড়ি থেকে প্রতিমাসে চাঁদা নেওয়া হয় পনেরশো টাকা করে, জানা গেছে এমন আরো অনেক যায়গা থেকে চাঁদা আদায় করা হলেও থনা পুলিশের নেই কোন ভুমিকা।
নাম না বলা শর্তে থানার দুই একজন অফিসার বলেন, ওসির বডিগার্ড কনষ্টেবল ফারুক এই থানায় সাত আট বছর ধরে আছেন, ফারুকের বাড়ি পাশের থানা বালিয়াকান্দীতে তিনি দীর্ঘ দিন একই থানায় চাকরি করার কারনে সব ধরনের অপরাধিদের সংগে তার গভির সুসম্পর্ক আছে বলে জানা যায়। ওসি সাহেবের মামাতো ভাই কনষ্টেবল আসলাম ও তার আগের থানায় চাকরি করার সময় যে ড্রাভার ছিল,কনষ্টেবল তাইজুল সহ এদের মাধ্যমে সব ধরনের লেনদেন হয়ে থাকে বলে জানাগেছে। সাধারণ মানুষ বলছে, যারা এই থানাতে অনেক বছর যাবত চাকরিতে আছেন এবং যাদের বাড়ি পাশাপাশি থানায়, তারা মুলত বেশির ভাগ অপরাধের সংগে জড়িত। বিষেশ করে ওসির বডিগার্ড ও ড্রাইভার তাইজুল সব অপরাধের সংগে জড়িত আছে বলে যানা যায়।মধুখালি থানা এলাকার সাধারণ মানুষ চুরি, ডাকাতি চাঁদাবাজি, মাদক সহ সব ধরনের অপরাধ দমনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে জননেতা জনাব আব্দুর রহমান এমপি ও সরকারের মাননীয় প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে মধুখালী বাসি সাধারন মানুষ দাবী করেন, আমরা একজন আর্দশ্যবান সত্যবাদি মন্ত্রী পেয়েছি, আমরা আশাবাদী মন্ত্রী তার নিজ থানার আইন শৃঙ্খলা নজরদারিতে রাখবেন, যাতে আমরা একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারি, থানা পুলিশের কাছে যেন আইনের সহযোগিতা সঠিক ভাবে পেতে পারি…